মুর্শিদাবাদ: শারদোৎসবে মেতে উঠেছেন আপামর বাঙালি। শরতের আকাশ আর কাশফুলকে সাক্ষী রেখে গজের পিঠে চড়ে উমা এসেছেন মর্তে। শহরের পুজো তো বটেই। জেলার পুজোগুলিতেও কম চমক থাকে না। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী মোরগ্রাম গ্রামে প্রায় ২৫০ বছর ধরে ‘মাস্টার বাড়ির দুর্গাপুজো’ পালিত হয়ে আসছে। এই পুজোয় প্রতিমা হয় একচালার। এই পুজোয় বৈষ্ণব ও তান্ত্রিক মতের ছোঁয়া রয়েছে। চক্রবর্তী মাস্টার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন রতন চক্রবর্তী।
এই চক্রবর্তী মাস্টার বাড়ির দুর্গাপুজোয় দুর্গা মায়ের প্রতিমায় একই রকম চিত্র দেখা গেলেও ভিন্ন চিত্রের দেখা মেলে অসুরের। এই মাস্টার বাড়ির দুর্গা প্রতিমায় অসুর হয় কচি বেল পাতা রঙের। এই পুজোয় গণেশের পাশে কলা বউ নয়, এখানে কলা বউকে দেখা যায় কার্তিকের পাশে। এই চক্রবর্তী মাস্টার বাড়ির দুর্গাপুজোয় বলিদান প্রথা দেখা যায়।
আরও পড়ুন: চিল্কিগড় রাজবাড়ির কুলদেবী কনক দুর্গার পুজো
কথিত আছে, যতক্ষণ না সন্ধি পুজোর পর মায়ের পা থেকে পুষ্প মাটিতে পড়বে ততক্ষণ পর্যন্ত বলিদান শুরু হবে না। এই অবাক করা দৃশ্যের সাক্ষী হতে ছুটে আসেন প্রচুর মানুষজন। এখানে সপ্তমী অষ্টমীতে বৈষ্ণব মতে বিভিন্ন ধরনের নিরামিষ ভোগ মাকে নিবেদন করা হয়। নবমী ও দশমীতে মায়ের ভোগের থালা সাজিয়ে তোলা মাছ-মাংসে। বলিদান প্রথা নিয়ে পরিবারের সদস্যের আপত্তি থাকলেও প্রাচীন রীতিনীতি মেনে তারা আজও এই প্রথা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও দশমীতেই এই প্রতিমা নিরঞ্জন হয় সিঁদুর খেলার পর।
দেখুন অন্য খবর